স্টার্টআপ এক্সপ্লোরার ঋণ পরিষেবা
নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠায় আর্থিক সাহায্য একটি অপরিহার্য উপাদান। সেই প্রেক্ষাপটে, “স্টার্টআপ এক্সপ্লোরার” এমন একটি ঋণ প্রোডাক্ট যা সদ্য গঠিত স্টার্টআপদের তাদের প্রাথমিক ধাপে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে। এই শিল্পমানের ঋণ পরিষেবাটি বিশেষ করে উচ্চাকাঙ্ক্ষী উদ্যোক্তাদের লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছে যারা তাদের অভিনব আইডিয়া বাস্তবায়নে আর্থিক প্রস্তুতির সন্ধান করছেন। এই প্রোডাক্টের মাধ্যমে নিম্নলিখিত সুবিধাগুলি প্রস্তাবিত হয়:
- লঘু ব্যাজের আর্থিক সাহায্য: ছোট পরিসরের ঋণের ব্যবস্থা যা মূলধনের প্রারম্ভিক চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে।
- সহজলভ্য অপেক্ষার অবস্থা: দ্রুত অনুমোদন এবং ডিসবার্সমেন্ট প্রক্রিয়া যা ব্যবসায়িক গতিকে দ্রুত বাড়িয়ে দেয়।
- হ্রাসকৃত সুদের হার: উদ্যোক্তা ও স্টার্টআপদের জন্য বিশেষভাবে নিম্ন হারে সুদ নির্ধারণ।
- লচকপূর্ণ পরিশোধ শর্ত: ব্যবসার আয়ের ধরণ অনুসারে পরিশোধে লচকপূর্ণ শর্তাৱলি।
- অতিরিক্ত পরামর্শ সেবা: ব্যবসায়িক পরামর্শ, প্রশিক্ষণ, এবং মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি গঠনে সাহায্য।
স্টার্টআপ এক্সপ্লোরার ঋণ সহায়িকা হিসাবে নতুন ব্যবসার যাত্রা আরও সহজ এবং সফল করে তোলে। উদ্ভাবনী প্রকল্পের জন্য আর্থিক ঝুঁকি মোকাবিলা এবং বাজারে প্রাথমিক পরিচিতি লাভে এই ঋণ অত্যন্ত উপযোগী।
যদি আপনি একজন উদ্যোক্তা এবং আপনার স্টার্টআপের জন্য এই ধরণের আর্থিক সহায়তা খুঁজছেন, তবে “স্টার্টআপ এক্সপ্লোরার” ঋণ নিশ্চিত করতে অতি অবশ্যই আমাদের ঋণ পরামর্শকের সাথে যোগাযোগ করুন।
স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড, ইস্টার্ণ ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল) ও ভিসা’র সহযোগিতায় কো-ব্র্যান্ড কার্ডসহ স্টার্টআপদের জন্য বিশেষ ঋণ (লোন) প্রোডাক্ট ‘‘স্টার্টআপ এক্সপ্লোরার’’ চালু করা হয়েছে। বাংলাদেশের স্টার্টআপদের জন্য এই প্রোডাক্টটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পলিসির অংশ হিসেবে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত এই ঋণ পেতে পারে স্টার্টআপরা। এটি স্টার্টআপগুলোকে তাদের কার্যক্রম বৃদ্ধিতে অনেক উপায়ে উপকৃত করবে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত ইবিএল প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্টার্টআপদের জন্য ‘স্টার্টআপ এক্সপ্লোরার’ ঋণ প্রোডাক্টটি উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বিশেষ অতিথি বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরষ্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরাণ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইবিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী রেজা ইফতেখার, স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশ স্টার্টআপ এবং নতুন উদ্ভাবনী ধারণার জন্য একটি সমৃদ্ধ ক্ষেত্র হয়ে উঠছে যা স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমকে রূপান্তরিত করছে। সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা অনুসারে, বাংলাদেশে বর্তমানে ১২০০ টিরও বেশি সক্রিয় স্টার্টআপ রয়েছে এবং প্রতি বছর ২০০টি নতুন স্টার্টআপ ইন্ডাস্ট্রিতে যোগ দিচ্ছে। এই ক্রমবর্ধমান সংখ্যক স্টার্টআপগুলো আমাদের তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের ইঞ্জিন হিসেবে কাজ করছে। প্রতি বছর আমাদের দেশের মধ্যম ও উচ্চ-মধ্য আয়ের মাধ্যম থেকে হাজার হাজার গ্রাজুয়েট এই স্টার্টআপগুলোতে তাদের কর্মজীবন শুরু করছে। হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা অর্জনের পর, তারা উদ্যোক্তা হিসাবে বিকশিত হচ্ছে।
মোস্তফা ওসমান তুরাণ বলেন, স্টার্টআপগুলো সমাজে চেঞ্জ-মেকার এবং প্রভাবকের ভুমিকা পালন করে। একটি কর্মচঞ্চল স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তৈরীর স্বার্থে সরকারি এবং বেসরকারী খাতের একযোগে কাজ করা প্রয়োজন।
আলী রেজা ইফতেখার বলেন, ইবিএল ইনোভেশন এবং টেকনোলজিতে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে। তাই যারা বা যেসকল সংস্থা বাংলাদেশের ডিজিটাল রুপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করছেন, তাদের সঙ্গে সহযোগিতাকে আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকি। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত স্টার্টআপ বাংলাদেশ দেশের প্রথম এবং একমাত্র ভেঞ্চার ক্যাপিটাল তহবিল। দেশের ডিজিটাল অবকাঠামো তৈরিতে স্টার্টআপ বাংলাদেশ যে ভূমিকা পালন করছে তা অনুপ্রেরণাদায়ক। এই অবকাঠামোকে ভিত্তি করেই দেশে প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের বিকাশ ঘটবে।
সামি আহমেদ বলেন, স্টার্টআপ ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বিনিয়োগের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল সুযোগ রয়েছে। স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার জন্য এবং একটি টেকসই স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার জন্য কাজ করছে ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধও যাতে বাংলাদেশকে এই অঞ্চলের পরবর্তী স্টার্টআপ হাব হিসাবে স্থান করে নিতে পারে। এখানেই আমরা ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের লক্ষ্যের সাথে এক, যার উদ্দেশ্য বাংলাদেশে স্টার্টআপের গ্রোথ এর জন্য এই কো-ব্র্যান্ডেড ব্যাংকিং পণ্যগুলো চালু করার মাধ্যমে তরুণ স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের সুবিধা প্রদান করা।
ক্রেডিট, ডেবিট এবং প্রি-পেইড এই তিন ধরণের কার্ড ইস্যু করা হবে। কো-ব্র্যান্ড কার্ডগুলোতে বিশেষ কিছু সুবিধা অফার করা হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে প্রথম বছরে জিরো ইস্যু ফি, আঠারোটি লেনদেনের ক্ষেত্রে জিরো নবায়ন ফি, দুটি সাপ্লিমেন্টারী কার্ড ইত্যাদি। দেশে ও বিদেশে এই কার্ডগুলো ব্যবহার করা যাবে।
এ ছাড়াও ফ্রিল্যান্সার হিসেবে যারা কাজ করছেন তাদের জন্য ইবিএল ফ্রিডম ফ্রিল্যান্সার ভিসা ডেবিট কার্ড অফার করছে ইস্টার্ণ ব্যাংক। এই কার্ড ব্যবহারের ফলে ফ্রিল্যান্সারদের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবস্থাপনা অনেক বেশি সহজ ও কার্যকর হবে।